জকিগঞ্জে গণশুনানিতে সরকারি অফিস ও পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ

জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক প্রতিরোধ ও গবেষণা সারোয়ার মাহমুদ বলেছেন, সেবা করার জন্যই সরকারি চাকরি। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কেউ জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। জনগনের সেবা করতে না পারলে পদ ছেড়ে সরে দাঁড়ান। ব্রিটিশ ও পাকিস্থান আমলে জনগণ শোষিত হয়েছে। স্বাধীন দেশে সেবা গ্রহিতারা শোষিত হবেন তা মেনে নেয়া যায়না। কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে বা অভিযোগকারীকে হেনস্তা করা হলে দুদক কঠোর ব্যবস্থা নেবে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরার প্লাটফর্ম হচ্ছে দুদক। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনাই দুদকের উদ্দেশ্য। আমরা সমস্যা শুনতে চাই সমাধানের জন্য কাজ করছি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি দমনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো ট্রলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জে প্রথমবারের মত দুদকের গণশুনানীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এ কথাগুলো বলেন।

বৃহস্পতিবার দুদক, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণশুনানীতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ। এ সময় গণশুনানীতে ভূক্তভোগীরা সরাসরি উপজেলার সরকারি অফিসসমূহের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ভূমি অফিস, জকিগঞ্জ থানা, স্যাটেলম্যান্ট অফিস ও শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে ২৪টি লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

অভিযোগকারী মামুন ও হাসান অভিযোগ করেন, অফিস চলাকালীন সময় কোন কোন চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট রোগী দেখেন। নার্সরা হাসপাতালে ডেলীভারী সেবা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে বাসায় ডেলিভারী সেবা দিয়ে থাকেন। পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধেও ছিল অন্তহীন অভিযোগ।  দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকা, ফোন না ধরা ও ডিজিএমের দুর্ব্যবহার একাধিক অভিযোগকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম, দুদকের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, সিলেট জেলার উপ-পরিচালক নুর-ই-আলম, ইসমাইল হোসেন, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র খলিল উদ্দিন।

অভিযোগকারীদের বক্তব্য শুনে প্রধান অতিথি বলেন, যে কেউ দুর্নীতির শিকার হলে ১০৬ নম্বরে ফোন দিয়ে অথবা অনলাইনে আবেদন করে কিংবা লিখিত অভিযোগ করে দুদকের কাছে প্রতিকার চাইতে পারেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আকরাম আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর